বৃহস্পতিবার ০২ মে ২০২৪
Online Edition

মওলানা ভাসানীকে রাষ্ট্রীয়ভাবে স্মরণ না করা হীনমন্যতার পরিচয়  ------ন্যাপ 

স্টাফ রিপোর্টার: শাসগোষ্টিকে ধমক দিতে পারতেন, শাসন করতে পারতেন এমন একজন মানুষই হচ্ছেন মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানী মন্তব্য করে বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, জাতির যিনি নেতা ছিলেন, তাকেও শাসন করতে পারতেন তিনি। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় স্বাধীনতার প্রায় ৫০ বছর যখন পালনে প্রস্তুত সমগ্র জাতি, তখন স্বাধীনতার স্বপ্নদ্রষ্টা মওলানা ভাসানীর কথা আলোচনা করা হচ্ছে না।  ভাসানীর জন্ম ও মত্যুদিন রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় পালন করা হয় না। মওলানা ভাসানীকে রাষ্ট্রীয়ভাবে স্মরণ না করা হীনমন্যতার পরিচয়।

গতকাল বৃহস্পতিবার নয়াপল্টনের যাদু মিয়া মিলনায়তনে মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ১৩৯ম জন্মবার্ষিকী স্মরণে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ আয়োজিত শ্রদ্ধা নিবেদন, স্মরণ ও দোয়া অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া’র সভাপতিত্বে ও ঢাকা মহানগর সভাপতি মো. শহীদুননবী ডাবলু'র সঞ্চালানায় আলোচনায় অংশ গ্রহণ করেন জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগ সভাপতি এম এ জলিল, এনডিপি মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, বাংলাদেশ জাসদ নেতা হুমায়ূন কবির, ন্যাপ ভাইস চেয়ারম্যান স্বপন কুমার সাহা, যুগ্ম মহাসচিব মো. আতিকুর রহমান, এহসানুল হক জসিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কামাল ভুইয়া, ঢাকা মহানগর যুগ্ম সম্পাদক মো. শামিম ভুইয়া প্রমুখ।

তিনি বলেন, এটা অত্যন্ত দুঃখজনক যে, ভাসানীকে আজকে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে স্মরণ করা হয় না। তার     ভূমিকাকে আড়াল করা হয়। অথচ ভাষা আন্দোলন, ঊনসত্তরের গণঅভ্যূত্থান এবং মুক্তিযুদ্ধ, কৃষক ও শ্রমিক   আন্দোলনসহ মুক্তির সংগ্রামের সকল ঘটনায় মওলানা ভাসানী ছিলেন অগ্রনায়ক।

তিনি বলেন, রাজনীতিতে গান্ধীর ধারা ছিল অহিংস, মওলানা ভাসানীর রাজনীতি ছিল বিদ্রোহ-আন্দোলন। তাকে টাইম পত্রিকা ‘প্রফেট অব ভায়োলেন্স’ আখ্যা দিয়েছিল ৬৯’র গণঅভ্যুত্থানের সময়ে, তাকে নেতিবাচকভাবে উত্থাপন করার জন্য। কিন্তু মওলানা যে আগুন জ্বালিয়েছিলেন, তা কাউকে আগুনে পুড়িয়ে মারবার নয়, তা মুক্তির আলো জ্বেলেছিল।

তিনি বলেন, মওলানা ভাসানী সত্যি কথা বলা শিখিয়েছেন। সেই সত্যের শক্তির ওপর ভরসা করেই আমাদের দেশকে মুক্ত করার রাজনীতি এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।

 

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ